এইচএসসি আইসিটি তৃতীয় অধ্যায় “ক –জ্ঞানমুলক” এবং “খ –অনুধাবনমুলক” প্রশ্নের উত্তর
এইচএসসি আইসিটি তৃতীয় অধ্যায় “ক –জ্ঞানমুলক” প্রশ্নের উত্তর
১। নম্বর (সংখ্যা) কি?
সংখ্যা হচ্ছে একটি উপাদান যা কোনকিছু গণনা, পরিমাণ এবং পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন- একাদশ শ্রেণীতে ২৪৩ জন ছাত্র আছে; এখানে ২৪৩ একটি সংখ্যা।
২। ডিজিট (অঙ্ক) কি?
সংখ্যা তৈরির ক্ষুদ্রতম প্রতীকই হচ্ছে অঙ্ক। যেমন- ২৪৩ তিন অংক বিশিষ্ট একটি সংখ্যা। ২, ৪ এবং ৩ প্রত্যেকটি এক একটি অঙ্ক।
৩। সংখ্যা পদ্ধতি কী?
সংখ্যা লেখা বা প্রকাশ ও এর সাহায্যে গাণিতিক হিসাব-নিকাশের জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিই হলো সংখ্যা পদ্ধতি।
৪। নন–পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে কোন সংখ্যার মান সংখ্যায় ব্যবহৃত অংকসমূহের অবস্থানের উপর নির্ভর করে না তাকে নন-পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
৫। পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে কোন সংখ্যার মান সংখ্যায় ব্যবহৃত
অংকসমূহের পজিশন বা অবস্থানের উপর নির্ভর করে তাকে পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
৬। স্থানীয় মান কী?
কোন সংখ্যা পদ্ধতিতে একটি সংখ্যায় কোন অঙ্কের স্থানীয়
মান হল (সংখ্যাটির বেজ) অঙ্কের পজিশন
৭। রেডিক্স পয়েন্ট কী?
পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতিতে Radix point(.) দিয়ে প্রতিটি
সংখ্যাকে পূর্ণাংশ এবং ভগ্নাংশ এই দুইভাগে বিভক্ত করা হয়।
৮। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি কী?
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ০ ও ১ এই দুইটি প্রতিক বা
চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বেজ
হচ্ছে ২।
৯। বিট কি?
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির ০ এবং ১ এই দুটি মৌলিক চিহ্নকে
বিট বলে। উদাহরণ-১১০১ সংখ্যাটিতে ৪ টি বিট রয়েছে।
১০। বাইট কি?
৮ বিটের গ্রুপ নিয়ে গঠিত হয় এক বাইট। উদাহরণ ১০,১০০১০০
সংখ্যাটিতে ৮ টি বিট রয়েছে যা মিলে এক বাইট গঠিত হয়েছে।
১১। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি কী?
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ৮টি(০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭) প্রতিক বা
চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা
ভিত্তি হলো ৮।
১২। ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কী?
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১০টি (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯) প্রতিক
বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ
বা ভিত্তি হলো ১০।
১৩। হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি কী?
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ১৬ টি (০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,A,B,C,D,E,F)
প্রতিক বা চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতি বলে। হেক্সাডেসিমেল
সংখ্যা পদ্ধতির বেজ হচ্ছে ১৬।
১৪। সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি কী?
একটি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মৌলিক চিহ্নসমূহের মোট
সংখ্যাকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ (Base) বা ভিত্তি বলে। সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তিকে
সাবস্ক্রিপ্ট (সংখ্যার ডানে একটু নিচে) হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
১৫। সাইন’ড নম্বর বা চিহ্নযুক্ত সংখ্যা কাকে বলে?
যখন কোন সংখ্যার পূর্বে ধনাত্মক(+) বা ঋণাত্মক(-)
চিহ্ন থাকে তখন সেই সংখ্যাকে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা বা সাইন’ড নম্বর বলা হয়।
১৬। চিহ্ন বা সাইন বিট কী?
বাইনারি পদ্ধতিতে চিহ্নযুক্ত সংখ্যা উপস্থাপনের জন্য
প্রকৃত মানের পূর্বে অতিরিক্ত একটি বিট ব্যবহার করা হয়। এই অতিরিক্ত বিটকে চিহ্ন বিট
বলে। চিহ্ন বিট 0 হলে সংখ্যাটি ধনাত্মক এবং চিহ্নবিট ১ হলে সংখ্যাটিকে ঋণাত্মক ধরা
হয়।
১৭। ১ এর পরিপূরক কী?
কোন বাইনারি সংখ্যার প্রতিটি বিটকে পূরক করে যে সংখ্যা
পাওয়া যায় তাকে ১ এর পরিপূরক বলা হয়।
১৮। ২ এর পরিপূরক কী?
কোন বাইনারি সংখ্যার ১ এর পরিপূরকের সাথে ১ যোগ করলে
যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে ২ এর পরিপূরক বলা হয়।
১৯। কোড কী?
মানুষের ভাষায় ব্যবহৃত প্রতিটি বর্ণ, অঙ্ক, সংখ্যা,
প্রতীক বা বিশেষ চিহ্নকে ডিজিটাল ডিভাইসে উপস্থাপনের জন্য বিটের অদ্বিতীয় বিন্যাস ব্যবহৃত
হয়, এই অদ্বিতীয় বিন্যাসকে বলা হয় কোড।
২০। বিসিডি (BCD) কী?
BCD এর পূর্ণরূপ হলো Binary Coded Decimal। ডেসিমেল
সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে সমতুল্য ৪-বিট দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পর প্রাপ্ত কোডকে
BCD বলে।
২১। অ্যাসকি (ASCII) কী?
ASCII আধুনিক কম্পিউটারে বহুল ব্যবহৃত ৭/৮ বিটের আলফানিউমেরিক
কোড যার পূর্ণরূপ American Standard Code For Information Interchange। কম্পিউটার এবং
ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসের মধ্যে তথ্য স্থানান্তরের জন্য এই কোড ব্যবহৃত হয়।
২২। EBCDIC কী?
EBCDIC হলো ৮-বিটের আলফানিউমেরিক কোড যার পূর্ণরূপ
Extended Binary Coded Decimal Interchange Code। এটি BCD কোডের নতুন সংস্করণ যা
IBM মেইনফ্রেম ও মিনি কম্পিউটারে ব্যবহার করা হতো।
২৩। ইউনিকোড কী?
Unicode আলফানিউমেরিক কোড যার পূর্ণরূপ Universal
Code। পৃথিবীর সকল ভাষার বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্নসমূহ ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহার করার জন্য
ইউনিকোড ব্যবহৃত হয়।
২৪। বুলিয়ান অ্যালজেবরা কী?
জর্জ বুল সর্বপ্রথম গণিত ও যুক্তির মধ্যে সম্পর্ক
আবিষ্কার করেন এবং গণিত ও যুক্তির ওপর ভিত্তি করে এক ধরণের অ্যালজেবরা তৈরি করেন, যাকে
বুলিয়ান অ্যালজেবরা বলা হয়।
২৫। বুলিয়ান চলক কী?
বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যে রাশির মান পরিবর্তনশীল তাকে
বুলিয়ান চলক বলে। চলকের মান ০ অথবা ১ হতে পারে।
২৫। বুলিয়ান ধ্রুবক কী?
বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যে রাশির মান অপরিবর্তনশীল তাকে
বুলিয়ান ধ্রুবক বলে। যেমন- F = A+0+1, এখানে 0 এবং 1 হচ্ছে বুলিয়ান ধ্রুবক।
২৬। বুলিয়ান পূরক কী?
বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যেকোনো চলকের মান ০ অথবা ১ হয়।
এই ০ এবং ১ কে একে অপরের বুলিয়ান পূরক বলা হয়। বুলিয়ান পূরককে ‘ ‾ ’ চিহ্নের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
২৭। বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ কী?
বুলিয়ান অ্যালজেবরায় সকল কাজ যৌক্তিক যোগ, গুণ ও পূরকের
সাহায্যে করা হয়। এই যৌক্তিক যোগ,গুণ ও পূরকের নিয়মগুলোকে বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ বলে।
২৮। বুলিয়ান দ্বৈতনীতি কী?
বুলিয়ান অ্যালজেবরার সকল উপপাদ্য যে দুটি নিয়ম মেনে
একটি বৈধ্য সমীকরণ থেকে অপর একটি বৈধ্য সমীকরণ নির্ণয় করা যায় তাকে বুলিয়ান দ্বৈতনীতি
বলে। বুলিয়ান অ্যালজেবরায় অর (OR) এবং অ্যান্ড (AND) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত সকল উপপাদ্য
দ্বৈতনীতি মেনে চলে।
২৯। সত্যক সারণি কী?
যে সারণির মাধ্যমে বুলিয়ান সমীকরণে ব্যবহৃত চলকসমূহের
বিভিন্ন মানবিন্যাসের জন্য বিভিন্ন আউটপুট প্রদর্শন করা হয়, তাকে সত্যক সারণি বলে।
সত্যক সারণির সাহায্যে বুলিয়ান সমীকরণের সত্যতা যাচাই করা হয়।
৩০। ডি–মরগানের উপপাদ্য দুটি লিখ।
প্রথম উপপাদ্যঃ যেকোন সংখ্যক চলকের যৌক্তিক যোগের
পূরক, প্রত্যেক চলকের পূরকের যৌক্তিক গুণের সমান।
দ্বিতীয় উপপাদ্যঃ যেকোন সংখ্যক চলকের যৌক্তিক
গুণের পূরক, প্রত্যেক চলকের পূরকের যৌক্তিক যোগের সমান।
৪০। লজিক গেট কী?
লজিক গেট হলো এক ধরনের ইলেকট্রনিক সার্কিট বা সুইচ
যা ডিজিটাল সার্কিট তৈরির মৌলিক উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লজিক গেট এক বা একাধিক ইনপুট
গ্রহণ করে এবং শুধুমাত্র একটি আউটপুট প্রদান করে।
৪১। মৌলিক গেট কী?
যেসকল গেট বুলিয়ান অ্যালজেবরার মৌলিক অপারেশনগুলো
বাস্তবায়ন করে তাদেরকে মৌলিক গেট বলা হয়। মৌলিক গেটের সাহায্যে সকল যৌগিক গেট ও যেকোন
সার্কিট তৈরি করা যায়।
৪২। যৌগিক গেট কী?
যেসকল গেট দুই বা ততোধিক মৌলিক গেটের সমন্বয়ে তৈরি,
তাদেরকে যৌগিক গেট বলে। যেমন- AND ও NOT গেটের সমন্বয়ে NAND গেট তৈরি হয়।
৪৩। সার্বজনীন গেট কাকে বলে?
যেসকল গেট মৌলিক গেটসহ যেকোন গেট এবং যেকোন সার্কিট
বাস্তবায়ন করতে পারে, তাদেরকে সার্বজনীন গেট বলে। NAND ও NOR গেটকে সার্বজনীন গেট বলা
হয়।
৪৪। এনকোডার কী?
এনকোডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা ইনপুট সিগন্যালকে
বাইনারি কোডে রূপান্তর করে।
৪৫। ডিকোডার কী?
ডিকোডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা বাইনারি কোডকে
মানুষের বোধগম্য ফরম্যাটে রূপান্তর করে।
৪৬। অ্যাডার কী?
অ্যাডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা দুটি অথবা তিনটি
বিট যোগ করে যোগফল ও ক্যারি আউটপুট দেয়।
৪৭। হাফ–অ্যাডার কী?
হাফ-অ্যাডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা দুটি বিট
যোগ করে যোগফল ও ক্যারি আউটপুট দেয়।
৪৮। ফুল–অ্যাডার কী?
ফুল-অ্যাডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা তিনটি বিট
যোগ করে যোগফল ও ক্যারি আউটপুট দেয়।
৪৯। বাইনারি অ্যাডার কী?
যে অ্যাডার দুটি বাইনারি সংখ্যা যোগ করতে পারে তাকে
বাইনারি অ্যাডার বলে।
৫০। ফ্লিপ–ফ্লপ কী?
ফ্লিপ-ফ্লপ হলো লজিক গেইট দিয়ে তৈরি এক ধরণের ডিজিটাল
বর্তনী যা এক বিট তথ্য ধারণ করতে পারে। প্রতিটি ফিপ-ফ্লপে এক বা একাদিক ইনপুটের জন্য
দুটি আউটপুট পাওয়া যায়।
৫১। রেজিস্টার কী?
রেজিস্টার হলো একগুচ্ছ ফ্লিপ-ফ্লপ এর সমন্বয়ে গঠিত
সার্কিট যা অস্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে। এর প্রত্যেকটি ফ্লিপ-ফ্লপ একটি বিট সংরক্ষণ
করতে পারে।
৫২। কাউন্টার কী?
কাউন্টার হলো একগুচ্ছ ফ্লিপ-ফ্লপ এবং লজিক গেটের সমন্বয়ে
গঠিত সার্কিট যা ইনপুট পালসের সংখ্যা গুণতে পারে।
৫৩। মোড নম্বর বা মডিউলাস কী?
কোন কাউন্টার সর্বোচ্চ যতগুলো সংখ্যা গুণতে পারে তাকে
তার মোড নম্বর বা মডিউলাস বলে। n বিট কাউন্টারের মডিউলাস হল 2n । অর্থাৎ একটি
n-বিট কাউন্টার ধারাবাহিকভাবে 0 থেকে 2n -1 সংখ্যাগুলো গণনা করতে পারে।
৫৪। বুলিয়ান গুণ প্রকাশ করা হয় কী দ্বারা?
বুলিয়ান গুণ প্রকাশ করা হয় ডট (.) দ্বারা।
৫৫। যুক্তিমূলক অপারেশন কয়টি?
যুক্তিমূলক অপারেশন ৩টি।
৫৬। মেশিন ভাষা কী?
কম্পিউটারে প্রক্রিয়াকরণের জন্য যে ভাষা ব্যবহার
করা হয় তাকে মেশিন ভাষা বলে।
এইচএসসি আইসিটি তৃতীয় অধ্যায় “খ –অনুধাবনমুলক” প্রশ্নের
উত্তর
১। ৩-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
কোন সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি বলতে ঐ সংখ্যা পদ্ধতিতে
ব্যবহৃত প্রতীকসমূহের মোট সংখ্যাকে বুঝায়।
৩-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতিতে ৩টি প্রতীক ব্যবহৃত হয়।
তাই তার ভিত্তি ৩। প্রতীকগুলো হলো 0, 1 ও 2। সুতরাং যে সংখ্যা পদ্ধতিতে ৩টি প্রতীক
ব্যবহৃত হয় তাকে ৩-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে।
২। FF এর পরের সংখ্যাটি 100 হতে পারে – ব্যাখ্যা কর।
একটি সংখ্যার পরের সংখ্যা বলতে বুঝায় ঐ সংখ্যার সাথে
১ যোগ করতে হবে।
এক্ষেত্রে, হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা FF এর সাথে 1 যোগ
করলে হেক্সাডেসিমেলে 100 পাওয়া যায়। সুতরাং হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে FF-এর পরের
সংখ্যাটি 100 হতে পারে।
৩। 5D কোন ধরণের সংখ্যা? ব্যাখ্যা কর।
5D হলো হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা।
একটি সংখ্যা কোন সংখ্যা পদ্ধতির তা নির্ভর করে সংখ্যায়
ব্যবহৃত অংকগুলো কোন সংখ্যা পদ্ধতির এবং সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তির উপর। উল্লিখিত সংখ্যার
D প্রতীকটি কেবলমাত্র হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত। তাই ভিত্তি না থাকলেও
বলা যায় 5D হলো হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা।
৪। 9+7=10 সম্ভব কি-না? ব্যাখ্যা কর।
এখানে, ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে যোগ করে যোগফলটি হেক্সাডেসিমেলে
প্রকাশ করা হয়েছে।
ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে 9 ও 7 এর যোগফল 16। যোগফল
16 কে হেক্সাডেসিমেলে রুপান্তর করলে 10 পাওয়া যায়। সুতরাং (9)₁₀+(7)₁₀=(10)₁₆ সম্ভব।
৫। 5+3=10 সম্ভব কি-না? ব্যাখ্যা কর।
এখানে, ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে যোগ করে যোগফলটি অক্টালে
প্রকাশ করা হয়েছে।
ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে 5 ও 3 এর যোগফল 8। যোগফল
8 কে অক্টালে রুপান্তর করলে 10 পাওয়া যায়।
সুতরাং (5)₁₀+(3)₁₀=(10)₈ সম্ভব।
৬। 6+5+3=1110 হতে পারে – ব্যাখ্যা কর।
এখানে, ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে যোগ করে যোগফলটি বাইনারিতে
প্রকাশ করা হয়েছে।
ডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতে 6, 5 ও 3 এর যোগফল 14 হয়।
যোগফল 14 কে বাইনারিতে রুপান্তর করলে 1110 পাওয়া যায়। সুতরাং (6)₁₀+(5)₁₀+(3)₁₀ = (1110)₂ হতে পারে।
৭। সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ব্যাখ্যা কর।
কোনো একটি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত অংক বা চিহ্ন বা
প্রতীক সমূহের মোট সংখ্যাকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ (Base) বা ভিত্তি বলে।
ডেসিমেল (দশমিক) সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট অংক
(০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯) ১০টি, তাই বেজ ১০। একইভাবে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত
মোট অংক ২টি, অক্টাল সংখ্যা পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট অংক ৮টি এবং হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা
পদ্ধতিতে ব্যবহৃত মোট অংক ১৬টি। তাই বেজ যথাক্রমে ২, ৮ ও ১৬।
৮। ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহৃত সংখ্যা পদ্ধতি ব্যাখ্যা
কর।
ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যবহৃত সংখ্যা পদ্ধতিটি হলো বাইনারি
সংখ্যা পদ্ধতি।
যে সংখ্যা পদ্ধতিতে সংখ্যা লেখা ও গাণিতিক হিসাব-নিকাশের
জন্য ২টি অংক বা প্রতিক (0, 1) ব্যবহৃত হয় তাকে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি বলে। বাইনারি
সংখ্যা পদ্ধতির প্রতিটি অংককে বিট বলে। যেহেতু বাইনারিতে দুইটি প্রতিক ব্যবহৃত হয়,
তাই এর ভিত্তি ২।
৯। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিগন্যাল উপযোগী
কেন? ব্যাখ্যা কর।
ডিজিটাল সিগন্যাল বলতে বুঝায় কতগুলো 0 ও 1 এর সমাবেশ।
কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশ শুধুমাত্র দুটি
অবস্থা অর্থাৎ বিদ্যুতের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতির উপর ভিত্তি করে সকল কার্য সম্পাদন
করে থাকে। বিদ্যুতের উপস্থিতিকে ON, HIGH, TRUE কিংবা YES বলা হয় যা লজিক লেভেল 1 নির্দেশ
করে এবং বিদ্যুতের অনুপস্থিতিকে OFF, LOW, FALSE কিংবা NO বলা হয় যা লজিক লেভেল 0 নির্দেশ
করে। যেহেতু কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ সকল কার্যক্রম 0 ও 1 এর সাহায্যে সম্পন্ন হয় এবং
ডিজিটাল সিগন্যাল বলতে 0 ও 1 বুঝায়, তাই বলা যায় কম্পিউটারের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিগন্যাল
উপযোগী।
১০। ২ এর পরিপূরক গঠনের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর।
কোন বাইনারি সংখ্যার ১-এর পরিপূরকের সাথে বাইনারি
পদ্ধতিতে ১ যোগ করে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে ২-এর পরিপূরক বলে।
২-এর পরিপূরক গঠনে “+0” ও “-0”এর মান একই যা বাস্তবের
সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২-এর পরিপূরক গঠনে সরল বর্তনী প্রয়োজন, যা দামে সস্তা
এবং দ্রুতগতিতে কাজ করে। ২-এর পরিপূরক গঠনে যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগের জন্য একই বর্তনী
ব্যবহার করা যায়। তাই আধুনিক কম্পিউটারে ২-এর পরিপূরক গঠনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
১১। ২ এর পরিপূরক ডিজিটাল বর্তনীকে সরল করে – ব্যাখ্যা
কর।
কোন বাইনারি সংখ্যার ১-এর পরিপূরকের সাথে বাইনারি
পদ্ধতিতে ১ যোগ করে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে ২-এর পরিপূরক বলে।
২-এর পরিপূরক গঠনে যোগ, বিয়োগ, গুন ও ভাগের জন্য একই
বর্তনী ব্যবহার করা যায়। এই বর্তনী সরল, সস্তা ও দ্রুতগতিতে কাজ করে। যেহেতু একটিমাত্র
বর্তনী দিয়ে অনেক কাজ করা যায়, তাই বলা যায়, ২-এর পরিপূরক ডিজিটাল বর্তনীকে সরল করে।
১২। ২ এর পরিপূরক করলে সংখ্যার শুধুমাত্র চিহ্নের
পরিবর্তন হয় – ব্যাখ্যা কর।
কোন বাইনারি সংখ্যার ১-এর পরিপূরকের সাথে বাইনারি
পদ্ধতিতে ১ যোগ করে যে সংখ্যা পাওয়া যায় তাকে ২-এর পরিপূরক বলে।
২-এর পরিপূরকের উদ্দেশ্য হলো নেগেশন করা। এক্ষেত্রে
ধনাত্মক সংখ্যাকে ২-এর পরিপূরক করলে ঋণাত্মক সংখ্যা পাওয়া যায়। আবার ঋণাত্মক সংখ্যাকে
২-এর পরিপূরক করলে ধনাত্মক সংখ্যা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র চিহ্নের পরিবর্তন
হয়।
১৩। (14)₁₀ এর BCD এবং বাইনারি সংখ্যার মধ্যে কোনটিতে বেশি
বিট প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর।
ডেসিমেল সংখ্যার প্রতিটি অঙ্ককে সমতুল্য ৪-বিট বিন্যাস
দ্বারা প্রতিস্থাপন করার পর প্রাপ্ত কোডকে বিসিডি(BCD) বলে।
(14)₁₀ এর সমকক্ষ BCD হলো 00010101 যা ৮-বিট। অপরদিকে
(14)₁₀ এর সমকক্ষ বাইনারি মান (1110)₂ যা ৪-বিট। তাই বলা যায়- (14)₁₀ এর সমকক্ষ বিসিডি(BCD) এবং বাইনারি সংখ্যার
মধ্যে BCD তে বেশি বিট প্রয়োজন হয়।
১৪। ইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক
কোডটি ব্যাখ্যা কর।
কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত সংখ্যাসূচক (0-9) চিহ্ন,
বিভিন্ন বর্ণ (a-z,A-Z), বিভিন্ন গাণিতিক (+, -, ×, ÷ etc.) ও বিশেষ চিহ্নের
($,*,#,% etc.) জন্য যে কোড ব্যবহৃত হয় তাকে আলফানিউমেরিক কোড বলে।
ইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক
কোডটি হলো ASCII যার পূর্ণরুপ American Standard Code for Information Interchange।
বর্তমানে ASCII বলতে ASCII-8 কেই বুঝায়, যার মাধ্যমে ২৮ বা ২৫৬টি চিহ্নকে অদ্বিতীয়ভাবে
কম্পিউটারকে বুঝানো যায়। অর্থাৎ ইউনিকোড আবিষ্কারের পূর্বে ইংরেজি ভাষার বর্ণ বা চিহ্নগুলো
ASCII এর মাধ্যমে কম্পিউটারে নির্দিষ্ট করা হতো।
১৫। বিশ্বের সকল ভাষাকে কোডভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে
– ব্যাখ্যা কর।
বিশ্বের সকল ভাষার সকল বর্ণ বা চিহ্নকে কোডভুক্ত করার
জন্য ইউনিকোড (Unicode) ব্যবহৃত হয়।
Unicode এর পূর্ণরূপ হলো Universal Code যা মূলত ২
বাইট বা ১৬ বিটের কোড। এ কোডের মাধ্যমে ২১৬ বা ৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয়
চিহ্ন কম্পিউটারকে অদ্বিতীয়ভাবে বুঝানো যায়। ফলে বিশ্বের সকল ভাষার সকল বর্ণ বা চিহ্নকে
কম্পিউটারে নির্দিষ্ট করা বা কোডভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
১৬। ইউনিকোড ‘বাংলা’ ভাষা বুঝতে পারে – ব্যাখ্যা কর।
ইউনিকোড বা Unicode এর পূর্ণরূপ হলো Universal
Code যা মূলত ২ বাইট বা ১৬ বিটের কোড।
এই কোডের সাহায্যে ২১৬ বা ৬৫,৫৩৬
টি অদ্বিতীয় চিহ্ন কম্পিউটারকে অদ্বিতীয়ভাবে বুঝানো যায়। ফলে বিশ্বের সকল ভাষার সকল
বর্ণ বা চিহ্নকে কম্পিউটারে নির্দিষ্ট করা যায়। সুতরাং বাংলা ভাষার বর্ণগুলোও এই কোডের
অন্তর্ভুক্ত। তাই ইউনিকোড বাংলা ভাষা বুঝতে পারে।
১৭। ইউনিকোড বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য আশীর্বাদ– বুঝিয়ে লিখ।
ইউনিকোড বা Unicode এর পূর্ণরূপ হলো Universal
Code যা মূলত ২ বাইট বা ১৬ বিটের কোড।
এই কোডের মাধ্যমে ২১৬ বা ৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয়
চিহ্ন কম্পিউটারকে অদ্বিতীয়ভাবে বুঝানো যায়। ফলে বিশ্বের সকল ভাষার সকল বর্ণ বা চিহ্নকে
কম্পিউটারে নির্দিষ্ট করা যায়। তাই বলা যায় ইউনিকোড বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য
আশীর্বাদ।
১৮। ‘১+১+১=১’ ব্যাখ্যা কর।
‘১+১+১=১’ এক্সপ্রেশনটি যৌক্তিক যোগ নির্দেশ করে যা OR গেট
দ্বারা বাস্তবায়ন করা যায়।
যৌক্তিক যোগের ক্ষেত্রে যেকোন একটি মান ১ হলেই যৌক্তিক
যোগফল ১ হয়। এখানে, ‘১+১+১=১’ এক্সপ্রেশনটিতে কমপক্ষে একটি মান ১ থাকায় যৌক্তিক
যোগফল ১ হয়েছে।
১৯। ১+১=১ ব্যাখ্যা কর।
‘১+১=১’ এক্সপ্রেশনটি যৌক্তিক যোগ নির্দেশ করে যা OR গেট
দ্বারা বাস্তবায়ন করা যায়।
যৌক্তিক যোগের ক্ষেত্রে যেকোন একটি মান ১ হলেই যৌক্তিক
যোগফল ১ হয়। এখানে, ‘১+১=১’ এক্সপ্রেশনটিতে কমপক্ষে একটি মান ১ থাকায় যৌক্তিক
যোগফল ১ হয়েছে।
২০। ‘T+T = T’ – ব্যাখ্যা কর।
T+T=T এক্সপ্রেশনটি যৌক্তিক যোগ নির্দেশ করে যা
OR গেট দ্বারা বাস্তবায়ন করা যায়।
T+T=T এক্সপ্রেশনটিতে T=০ হলে ০+০=০ এবং T=১ হলে ১+১=১
হয় যা যৌক্তিক যোগের ক্ষেত্রে সত্য। তাই বলা যায়- T+T=T এক্সপ্রেশনটি যৌক্তিক যোগ নির্দেশ
করে।
২১। NAND গেট দিয়ে OR গেট বাস্তবায়ন কর।
OR গেটের ক্ষেত্রে ইনপুট A ও B হলে আউটপুট ফাংশন হবে F = A+B
ফাংশনটির সার্কিট NAND গেট দিয়ে বাস্তবায়ন নিম্নরূপ:
২২। M(M+N)=M ব্যাখ্যা কর।
বামপক্ষ = M(M+N)
= MM+MN
=
M+MN [ A.A=A ]
= M(1+N)
=
M.1 [ A+1=1 ]
=
M [ A.1=A ]
= ডানপক্ষ
সুতরাং M(M+N )=M
২৩। পাঁচ ইনপুটের AND গেট বাস্তবায়নে কয়টি NAND গেট
প্রয়োজন? ব্যখ্যা কর।
AND গেটের ক্ষেত্রে পাঁচটি ইনপুট A, B, C, D ও E হলে
আউটপুট ফাংশন হবে F = A.B.C.D.E
ফাংশনটির সার্কিট NAND গেট দিয়ে বাস্তবায়ন নিম্নরূপ:
উপরোক্ত সার্কিট হতে দেখা যায়, পাঁচ ইনপুটের AND গেট
বাস্তবায়নে ২টি NAND গেট প্রয়োজন।
২৪। “NOR গেটের সকল ইনপুট একই হলে গেটটি মৌলিক গেট
হিসেবে কাজ করে”-ব্যাখ্যা কর।
NOR গেটে কমপক্ষে ২টি ইনপুট থাকে। দুটি ইনপুটই A হলে আউটপুট ফাংশন হবে-
উপরিউক্ত NOR গেটের দুটি ইনপুটই A এবং আউটপুট A এর
পূরক; যা মৌলিক গেট NOT এর মতো কাজ করছে। সুতরাং বলা যায়, NOR গেটের সকল ইনপুট একই
হলে গেটটি মৌলিক গেট অর্থাৎ NOT গেট হিসেবে কাজ করে।
২৫। কোন যুক্তিতে ১+১=১ এবং ১+১=১০ হয়? ব্যাখ্যা কর।
‘১+১=১’ এক্সপ্রেশনটি যৌক্তিক/বুলিয়ান যোগ নির্দেশ করে এবং
‘১+১=১০’ এক্সপ্রেশনটি বাইনারি যোগ নির্দেশ করে।
যৌক্তিক যোগের ক্ষেত্রে যেকোন একটি মান ১ হলেই যৌক্তিক
যোগফল ১ হয়। এখানে, ‘১+১=১’ এক্সপ্রেশনটিতে কমপক্ষে একটি মান ১ থাকায় যৌক্তিক
যোগফল ১ হয়েছে। অপরদিকে বাইনারি যোগে দুটি ১ যোগ করলে যোগফল ০ ও ক্যারি ১ হয়। এখানে,
‘১+১=১০’ এক্সপ্রেশনটিতে দুটি ১ যোগ করে যোগফল ০ ও ক্যারি
১ লেখা হয়েছে।
২৬। বাইনারি ১+১ ও বুলিয়ান ১+১ এক নয় – ব্যাখ্যা কর।
বাইনারি যোগে দুটি ১ যোগ করলে যোগফল ০ ও ক্যারি ১
হয়। অর্থাৎ ‘১+১=১০’ হয়; যেখানে যোগফল ০ ও ক্যারি ১।
অপরদিকে বুলিয়ান/যৌক্তিক যোগের ক্ষেত্রে যেকোন একটি
মান ১ হলেই বুলিয়ান যোগফল ১ হয়। অর্থাৎ ‘১+১=১’লেখা হয়; কারণ কমপক্ষে একটি মান ১ রয়েছে। তাই বলা যায়, বাইনারি ১+১ ও বুলিয়ান ১+১ এক নয়।
২৭। Output, Input এর যৌক্তিক বিপরীত – ব্যাখ্যা কর।
‘Output, Input এর যৌক্তিক বিপরীত’ স্টেটমেন্টটি NOT গেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
NOT গেট একটি মৌলিক গেট; যার একটি ইনপুট ও একটি আউটপুট
থাকে। এই গেট যৌক্তিক পূরকের কাজ করে; যৌক্তিক পূরকে ০ এর পূরক ১ এবং ১ এর পূরক ০ হয়।
অর্থাৎ NOT গেটের আউটপুট ইনপুটের বিপরীত হয়। তাই এই গেটকে ইনভার্টারও (Inverter) বলা
হয়।
২৮। XNOR গেট সকল মৌলিক গেটের সমন্বিত লজিক সার্কিট
– ব্যাখ্যা কর।
XNOR গেটের ইনপুট A ও B হলে, সত্যক সারণির আউটপুটের ফাংশন
শুধুমাত্র মৌলিক গেটের সাহায্যে ফাংশনটির লজিক সার্কিট বাস্তবায়ন –
XNOR গেটের সার্কিট বাস্তবায়ন থেকে দেখা যাচ্ছে সকল
মৌলিক গেট AND, OR, NOT ব্যবহৃত হয়েছে। তাই বলা যায় XNOR গেট সকল মৌলিক গেটের
সমন্বিত লজিক সার্কিট।
২৯। XOR গেট সকল মৌলিক গেটের সমন্বিত লজিক সার্কিট
– ব্যাখ্যা কর।
XOR গেটের ইনপুট A ও B হলে, সত্যক সারণির আউটপুটের ফাংশন
শুধুমাত্র মৌলিক গেটের সাহায্যে ফাংশনটির লজিক সার্কিট বাস্তবায়ন –
XOR গেটের সার্কিট বাস্তবায়ন থেকে দেখা যাচ্ছে সকল
মৌলিক গেট AND, OR, NOT ব্যবহৃত হয়েছে। তাই বলা যায় XOR গেট সকল মৌলিক গেটের সমন্বিত
লজিক সার্কিট।
৩০। NAND গেটকে সার্বজনীন গেট বলা হয় কেন?
যে গেট দ্বারা মৌলিক গেটসহ যেকোন গেট এবং যেকোন সার্কিট
বাস্তবায়ন করা যায়, তাকে সার্বজনীন গেট বলে।
NAND গেট দ্বারা তিনটি মৌলিক গেট বাস্তবায়ন করা যায়।
আবার তিনটি মৌলিক গেট দ্বারা যেকোন গেট এবং যেকোন সার্কিট বাস্তবায়ন করা যায়। যেহেতু
NAND গেট দ্বারা তিনটি মৌলিক গেটসহ যেকোন গেট এবং যেকোন সার্কিট বাস্তবায়ন করা যায়,
তাই NAND গেটকে সার্বজনীন গেট বলা হয়।
৩১। NOR গেটকে সার্বজনীন গেট বলা হয় কেন?
যে গেট দ্বারা মৌলিক গেটসহ যেকোন গেট এবং যেকোন সার্কিট
বাস্তবায়ন করা যায়, তাকে সার্বজনীন গেট বলে।
NOR গেট দ্বারা তিনটি মৌলিক গেট বাস্তবায়ন করা যায়।
আবার তিনটি মৌলিক গেট দ্বারা যেকোন গেট এবং যেকোন সার্কিট বাস্তবায়ন করা যায়। যেহেতু
NOR গেট দ্বারা তিনটি মৌলিক গেটসহ যেকোন গেট এবং যেকোন সার্কিট বাস্তবায়ন করা যায়,
তাই NOR গেটকে সার্বজনীন গেট বলা হয়।
৩২। এনকোডার ও ডিকোডার এর পার্থক্য লিখ।
এনকোডার |
ডিকোডার |
এনকোডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা ইনপুট সিগন্যালকে বাইনারি কোডে রূপান্তর করে। |
ডিকোডার এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট যা বাইনারি কোডকে মানুষের বোধগম্য ফরম্যাটে রূপান্তর করে। |
এনকোডারে 2n সংখ্যক ইনপুট লাইন ও সর্বাধিক n সংখ্যক আউটপুট লাইন থাকে। |
ডিকোডারে n সংখ্যক ইনপুট লাইন ও সর্বাধিক 2n সংখ্যক আউটপুট লাইন থাকে। |
এনকোডার ইনপুট ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকে। |
ডিকোডার আউটপুট ডিভাইসের সাথে যুক্ত থাকে। |
এনকোডার তৈরিতে OR গেট ব্যবহৃত হয়। |
ডিকোডার তৈরিতে AND ও NOT গেট ব্যবহৃত হয়। |
এনকোডার প্রেরক প্রান্তে উপস্থিত থাকে। |
ডিকোডার প্রাপক প্রান্তে উপস্থিত থাকে। |
৩৩। ASCII ও Unicode এর পার্থক্য
·
ASCII এর পূর্ণ রূপ American
Standard Code For Information Interchange। Unicode এর পূর্ণ রূপ
Universal Code বা সার্বজনীন কোড।
·
ASCII ৭ বা ৮ বিটের কোড। কিন্তু Unicode ৮, ১৬ বা ৩২ বিটের হয়ে থাকে।
·
ASCII এর মাধ্যমে ২৮ = ২৫৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্ন কম্পিউটারে নির্দিষ্ট করা যায়। Unicode এর মাধ্যমে ২১৬ = ৬৫,৫৩৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্ন কম্পিউটারে নির্দিষ্ট করা যায়।
·
ASCII এর সাহায্যে শুধুমাত্র ইংরেজি ও ল্যাটিন ভাষার বর্ণ ও চিহ্নকে কম্পিউটারে নির্দিষ্ট করা যায়। অপরদিকে Unicode এর সাহায্যে বিশ্বের ছোট বড় সকল ভাষার বর্ণ ও চিহ্নকে কম্পিউটারে নির্দিষ্ট করা যায়।