ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজ বিড়ম্বনা
আমরা সাধারণত শুরুতে সাধারণ একটা ফেসবুক পেজ খুলে যেকোনো বিজনেস শুরু করে দিই। ফেসবুক যে নামটা ব্যবহার করি ওটাই সাধারণত আমাদের বিজনেসের নাম হয়ে থাকে। তাছাড়া অনেক কষ্ট করে আমরা একটা ফেসবুক পেজ দাড় করাই এবং সেটার মাধ্যমেই আমরা পরিচিত হই।
এই পেজের মাধ্যমেই আমরা অনেক প্রডাক্ট বিক্রি করে অনেক লাভবান হই। কিন্তু এই ফেসবুক পেজটাই যদি হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কেমন লাগবে? নিজেরাই বিবেচনা করুন।
আসুন এবার জেনে নিই কেন ফেসবুক পেজ হারিয়ে বা নষ্ট হয়ে যায়ঃ
১। ধরুন, আপনার উন্নতি দেখে অন্য কারোর সহ্য হচ্ছে না। তখন তার মনে কুবুদ্ধির উদয় হলো এবং সে ব্যাক্তি সহ আরো অনেকেই আপনার পেজে রিপোর্ট করলো। তখন ফেসবুক অফিসিয়ালি আপনার পেজ ক্লোজ করে দিবে।
২। আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন সময় বুস্টিং করে থাকেন। অনেকেই কুপন দিয়ে বুস্টিং করায়। আবার অনেকে ফেসবুক থেকে লোন নিয়ে বুস্টিং করিয়ে দেয়। বুস্টিংয়ে অসততার জন্য অথবা একই এড একাউন্ট থেকে বিতর্কিত কন্টেন্ট বুস্টিং করলে আপনার ফেসবুক পেজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৩। আপনার ব্যক্তিগত আইডিতে যেকোনো ধরনের কোন সমস্যা হলে সেটা আপনার পেজের উপর পড়তে পারে।
৪। হ্যাকার বা ফিশিং সাইটের খপ্পরে পড়ে আপনার ফেসবুক পেজ হারাতে পারেন।
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক কারণেই আপনার ফেসবুক পেজটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বন্ধ হওয়ার পরেও আপনার ফেসবুক পেজ উদ্ধার করা সম্ভব। তবে সেটার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। তাছাড়া পেজ উদ্ধার করাটাও অনেক লম্বা প্রক্রিয়া। ততদিনে আপনি আপনার কাস্টমার হারাতে পারেন। এজন্য আপনার পেজের পাশাপাশি ওয়েবসাইট একান্ত প্রয়োজনীয়।
তাছাড়া বিজনেস শুরু করার সাথে সাথে আপনার একটা ডোমেইন কিনে রাখা খুবই জরুরি। ডোমেইনটাই আপনার বিজনেসের অনলাইন ঠিকানা। অনেকেরই বিজনেসের শুরুতে ওয়েবসাইট করার মত টাকা থাকে না। তার অন্তত ডোমেইন কিনে রাখা একান্ত প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রথমেই কেন ডোমেইন কিনবোঃ
১। প্রথমেই মনে রাখতে হবে ডোমেইন মানে হলো আপনার ওয়েবসাইটের ঠিকানা। আপনি ডোমেইন কিনে আপনার কাস্টমারদের আপনার ওয়েবসাইট এর ঠিকানা সম্পর্কে অবহিত করতে পারেন যা আপনার বিজনের ব্র্যান্ডিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২। প্রথমেই যদি আপনার বিজনেস নামের ডোমেইনটি না কিনে থাকেন, তাহলে অন্য কেউ আপনার বিজনেস নামের ডোমেইনটি কিনে পার্ক করে রাখতে পারে। এতে পরবর্তীতে আপনাকে উক্ত ডোমেইন কিনতে বেশি মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
৩। একই নামে একাধিক পেজ খোলা গেলেও একই ডোমেইন দিয়ে একটিমাত্র ওয়েবসাইট খোলা যায়। ধরুন, আপনার প্রতিষ্ঠিত বিজনেসের ডোমেইন কিনে অন্য কেউ বিজনেস শুরু করলো। তাহলে আপনার কাস্টমার কিন্তু আপনার থেকে তাকেই বেশি বিশ্বাস করবে। এটা আপনার জন্য মোটেই কাম্য নয়।
তাই বিজনেসের শুরুতেই আপনি ডোমেইন কিনে রাখুন।
তাছাড়া আপনার যদি বাজেট থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখুন। কেননা,
১। ওয়েবসাইট করলে আপনি কাস্টমারের পূর্ণ বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন।
২। আপডেট প্রডাক্টের নোটিফিকেশন দিতে পারবেন।
৩। ফেসবুকের মত অন্য কারোর প্রডাক্ট কাস্টমারের সাজেশনে যাবেনা। শুধুমাত্র আপনার প্রডাক্টই তিনি সাজেশন পাবে।
৪। আপনি আপনার পূর্ণ ব্র্যান্ডিং করতে পারবেন।
৫। অনলাইনে আপনার নিজের মত করে প্রডাক্ট সাজিয়ে শপ তৈরি করতে পারেন।
৬। ওয়েবসাইটের ওয়েব এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে সহজেই আয়-ব্যয়ের হিসাব করতে পারবেন।
৭। কাস্টমারদের বিভিন্ন অফার পাঠাতে পারবেন।
এছাড়াও আরো অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন। যেকোনো ধরনের আইটি বিষয়ক পরামর্শের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
ধন্যবাদান্তে,
সুজন কুমার
সহ-প্রতিষ্ঠাতা,
আইসিটি গ্যারাজ